ইতিহাস ভূগোল
ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আদর্শ ও বিবর্তন
1. গান্ধীজীর পুরো নাম কি?
2. কোন সময় গান্ধীজী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতবর্ষে ফিরে এসেছিলেন?
3. গান্ধীজী প্রথম কোথায়, একটি বর্ণবৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন?
4. গান্ধীজীর দুটি আদর্শ কি কি ছিল?
5. গান্ধীজীর মতে মানব জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য কি?
6. গান্ধীজী তার স্বরাজ বিষয়ক সামাজিক আদর্শ গুলি কে কোন লেখার মাধ্যমে স্পষ্ট বিশ্লেষণ করেছিলেন?
7. গান্ধীজীর কোন বক্তব্য সবাই সমর্থন করেননি?
8. গান্ধীর ব্যবহৃত কোন কোন প্রতীক উত্তর ও মধ্য ভারতের হিন্দু জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল?
9. বিহারের চম্পারণে আন্দোলনকারী কারা ছিলেন?
10. গুজরাটের খেড়া জেলায় কৃষকরা কেন আন্দোলন শুরু করেছিল ?
11. রাওলাট আইন কবে পাস হয় ?
12. জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ড কবে হয়েছিল ?
13. জালিয়ান ওয়ালা বাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ কি করেছিলেন ?
14. যে তিনটি প্রধান জাতীয় আন্দোলনে গান্ধীজী নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সেগুলি কি কি ?
15. অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল কবে ?
16. চৌরিচৌরার ঘটনা কবে সংঘটিত হয়েছিল ?
17. চৌরিচৌরার ঘটনার ফলাফল কি ছিল ?
18. কংগ্রেসের মধ্যেই যে একটি নতুন গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল তার নাম কি ?
19. স্বরাজ্য দল কারা গঠন করেছিলেন ?
20. চিত্তরঞ্জন দাস কবে মারা যান ?
2. কোন সময় গান্ধীজী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতবর্ষে ফিরে এসেছিলেন?
3. গান্ধীজী প্রথম কোথায়, একটি বর্ণবৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন?
4. গান্ধীজীর দুটি আদর্শ কি কি ছিল?
5. গান্ধীজীর মতে মানব জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য কি?
6. গান্ধীজী তার স্বরাজ বিষয়ক সামাজিক আদর্শ গুলি কে কোন লেখার মাধ্যমে স্পষ্ট বিশ্লেষণ করেছিলেন?
7. গান্ধীজীর কোন বক্তব্য সবাই সমর্থন করেননি?
8. গান্ধীর ব্যবহৃত কোন কোন প্রতীক উত্তর ও মধ্য ভারতের হিন্দু জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল?
9. বিহারের চম্পারণে আন্দোলনকারী কারা ছিলেন?
10. গুজরাটের খেড়া জেলায় কৃষকরা কেন আন্দোলন শুরু করেছিল ?
11. রাওলাট আইন কবে পাস হয় ?
12. জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ড কবে হয়েছিল ?
13. জালিয়ান ওয়ালা বাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ কি করেছিলেন ?
14. যে তিনটি প্রধান জাতীয় আন্দোলনে গান্ধীজী নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সেগুলি কি কি ?
15. অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল কবে ?
16. চৌরিচৌরার ঘটনা কবে সংঘটিত হয়েছিল ?
17. চৌরিচৌরার ঘটনার ফলাফল কি ছিল ?
18. কংগ্রেসের মধ্যেই যে একটি নতুন গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল তার নাম কি ?
19. স্বরাজ্য দল কারা গঠন করেছিলেন ?
20. চিত্তরঞ্জন দাস কবে মারা যান ?
21. সাইমন কমিশন কেন তৈরি করা হয়েছিল ?
22. ভারতের রাজনৈতিক সংগঠন গলি সাইমন কমিশনের বিরোধিতা করেছিল কেন ?
23. কিভাবে সাইমন কমিশনের বিরোধিতা করা হয় ?
24. গান্ধীজী পূর্ণ স্বরাজ অর্জনে কথা কবে ঘোষণা করেন ?
25. গান্ধীজী কবে ডান্ডি অভিযান করেছিলেন ?
26. গান্ধীজীর লবণ আইন ভঙ্গ করা কিসের প্রতীক ছিল ?
27. ভারতের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে আইন অমান্য আন্দোলনের নেতৃত্ব কে দিয়েছিলেন ?
28. খুদা-ই খিদমদগার কি ?
29. সীমান্ত গান্ধী নামে কে পরিচিত ছিলেন ?
30. সিলেট, মৈমনসিংহ প্রভৃতি অঞ্চলে কার নেতৃত্বে কৃষক আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল ?
31. গান্ধী আরোহীণ চুক্তি কবে কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ?
32. কত খ্রিস্টাব্দে আইন অমান্য আন্দোলন পুনরায় শুরু হয়েছিল ?
33. চট্টগ্রামে বিপ্লবীদের অভুত্থান ঘটেছিল কার নেতৃত্বে ?
34. চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করা হয় কবে এবং কার নেতৃত্বে?
35. চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করার পর বিপ্লবীরা কোথায় আশ্রয় নিয়েছিলেন ?
36. সূর্যসেনের ফাঁসি হয়েছিল কবে ?
37. কারা কবে রাইটার্স বিল্ডিং আক্রমণ করেছিলেন ?
38. নওজোয়ান ভারত সভা কে প্রতিষ্ঠা করেন ?
39. কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলা কবে এবং কাদের বিরুদ্ধে রজু করা হয় ?
40. পুলিশ সুপার স্যান্ডার্সকে কে কেন হত্যা করেন ?
41. কেন্দ্রীয় আইনসভা কক্ষে কারা বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন ?
42. লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা কবে কাদের বিরুদ্ধে শুরু করা হয়েছিল ?
43. লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় কাদের ফাঁসি হয়েছিল ?
44. ইনকিলাব জিন্দাবাদ কথাটির অর্থ কি ?
45. করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে এই ডাক কে দিয়েছিলেন ?
46. তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার কে কোথায় গঠন করেছিলেন ?
47. তমলুকের বৃদ্ধা বিদ্রোহিনীর নাম কি ছিল ?
48. তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার কতদিন পর্যন্ত টিকে ছিল ?
49. ভারতকে যুদ্ধরত দেশ বলে কে ঘোষণা করেন ?
50. স্ট্যামফোর্ড ক্রিপস্ কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ?
51. সুভাষচন্দ্রের সঙ্গে কার চিঠিপত্র বিনিময় হয়েছিল
52. স্বরাজ্য দলের সচিব কে ছিলেন
53. কত সালে কলকাতা কর্পোরেশনে নির্বাচনে স্বরাজ্য দল জয়ী হয়েছিল ?
54. চিত্তরঞ্জন দাস কবে মারা গিয়েছিলেন ?
55. কোন সময় থেকে গান্ধী ও সুভাষের সংঘাত শুরু হয় ?
56. কোন ইতালি ও রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে সুভাষচন্দ্র দেখা করেছিলেন ?
57. ভারত ছাড়ো আন্দোলন কবে শুরু হয়েছিল ?
58. হল ওয়েল মনুমেন্ট সরানোর দাবি কেন করা হয়েছিল ?
59. কে কবে আজাদ হিন্দ ফৌজ তৈরি করেছিলেন ?
60. আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠার কথা সুভাষচন্দ্র কবে ঘোষণা করেন ?
61. আজাদ হিন্দ সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন ?
62. আজাদ হিন্দ ফৌজ এর নারী বাহিনীর নাম কি ছিল ?
63. জাপানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন ?
64. জাপানের প্রধানমন্ত্রী ভারতের কোন কোন অঞ্চল আজাদ হিন্দ সরকারের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ?
65. আজাদ হিন্দ বাহিনীর প্রথম ব্যাটেলিয়ান কবে রেঙ্গুন থেকে ভারত অভিমুখে যাত্রা করে ?
66. আজাদ হিন্দ বাহিনী ভারতের মাটিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে কবে ?
67. আজাদ হিন্দ বাহিনীর অধিকাংশ সৈনিক কিভাবে মারা গিয়েছিলেন ?
68. সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু কিভাবে ঘটেছে বলে জানা যায় ?
69. আজাদ হিন্দ বাহিনীর সৈন্যদের বিচার কোথায় শুরু হয়?
70. আজাদ হিন্দ বাহিনীর কোন কোন সৈনিককে দেশদ্রোহীতার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় ?
1. আলীগড় আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য কি ছিল ?
আলিগড় আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল মূলত ভারতীয় মুসলমান সমাজের আধুনিকীকরণ এবং তাদের ব্রিটিশ শাসনাধীনে সমাজে ও শিক্ষায় উপযুক্ত স্থান করে দেওয়া। এই আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্যগুলি ছিল:
আধুনিক শিক্ষার বিস্তার: স্যার সৈয়দ আহমদ খান উপলব্ধি করেছিলেন যে, মুসলমান সমাজকে পিছিয়ে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করতে হলে তাদের অবশ্যই পাশ্চাত্য শিক্ষা ও জ্ঞান-বিজ্ঞান গ্রহণ করতে হবে। তিনি ইসলামীয় ধর্মতত্ত্বের সঙ্গে আধুনিক ইউরোপীয় দর্শন, বিজ্ঞান এবং সাহিত্যকে একত্রিত করে একটি সমন্বিত শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে চেয়েছিলেন।
উদার মনোভাবের বিকাশ: এই শিক্ষার মাধ্যমে তিনি মুসলমান সমাজের মধ্যে থেকে গোঁড়ামি দূর করে একটি আধুনিক, উদার ও যুক্তিবাদী মনোভঙ্গির বিকাশ ঘটাতে চেয়েছিলেন।
ব্রিটিশ সুবিধা গ্রহণ: স্যার সৈয়দ আহমদ খান মুসলমান অভিজাত এবং শিক্ষিত শ্রেণিকে উৎসাহিত করেছিলেন যেন তাঁরা ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধাগুলিকে কাজে লাগিয়ে স্বনির্ভর ও কর্মক্ষম হয়ে ওঠে। তিনি ব্রিটিশ শাসনের প্রতি মুসলমানদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেন।
অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা: এই উদ্দেশ্য পূরণের প্রধান হাতিয়ার ছিল আলিগড় মহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ (যা পরবর্তীকালে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত হয়)। এই প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যক্রমে ইসলামীয় ধর্মতত্ত্বের পাশাপাশি ইউরোপীয় দর্শন ও বিজ্ঞানকে স্থান দেওয়া হয়।
সংক্ষেপে, আলিগড় আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল ইসলামীয় ঐতিহ্যের ভিত্তি অক্ষুণ্ণ রেখে ভারতীয় মুসলমানদের জন্য এমন একটি আধুনিক পথ তৈরি করা, যা তাদের একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং ব্রিটিশ ভারতে সম্মানজনক ও প্রভাবশালী অবস্থান ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
2. স্বদেশী আন্দোলন বাংলার হিন্দু মুসলমান সম্পর্ককে কীভাবে প্রভাবিত করে ছিল?
স্বদেশী আন্দোলন বাংলার হিন্দু ও মুসলমান সমাজের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছিল।
বিভাজনের কারণ: ব্রিটিশরা বঙ্গভঙ্গকে পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের জন্য সুযোগ (শিক্ষা, রাজধানী ঢাকা) হিসেবে তুলে ধরে। এর ফলে, কলকাতা-কেন্দ্রিক উচ্চবর্ণের হিন্দুদের প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে অনেক মুসলমান মধ্যবিত্ত ও সাধারণ মানুষ বঙ্গভঙ্গকে সমর্থন করেন।
হিন্দুদের প্রতিক্রিয়া: হিন্দু সমাজের একাংশ এই বিভাজনকে বিরোধিতা করে, কিন্তু তাদের মধ্যে উচ্চবর্ণের শ্রেষ্ঠত্ব এবং মুসলমানদের প্রতি অস্পৃশ্যতা (যেমন রবীন্দ্রনাথ উল্লেখ করেছেন) বিদ্যমান ছিল।
ফলাফল: এই ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং শ্রেণীগত বৈষম্যের কারণে বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী স্বদেশী আন্দোলন অনেক মুসলমানের কাছে হিন্দুদের আন্দোলন হিসেবে গণ্য হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম লীগ গঠিত হয়, যা বাংলার রাজনীতিতে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে বিভেদকে আরও শক্তিশালী করে।
সারসংক্ষেপ: আন্দোলনটি আপাতভাবে ঐক্যের প্রচেষ্টা চালালেও, শেষ পর্যন্ত তা রাজনৈতিক এবং সামাজিক মেরুকরণ ঘটিয়েছিল।
3. ভারতীয় মুসলমানরা খিলাফৎ আন্দোলন শুরু করে ছিল কেন?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের (অটোমান সাম্রাজ্য) পরাজয়ের পর ব্রিটিশ ও তাদের মিত্রশক্তি তুরস্কের সুলতানের ক্ষমতা ও সাম্রাজ্য খর্ব করতে চেয়েছিল। ভারতীয় মুসলমানরা তুরস্কের সুলতানকে তাঁদের খলিফা বা সমগ্র মুসলিম জাহানের ধর্মীয় প্রধান বলে মনে করত।
খলিফার মর্যাদা এবং মুসলমানদের পবিত্র স্থানগুলির অভিভাবকত্ব বিপন্ন হচ্ছে দেখে ভারতীয় মুসলমানরা ব্রিটিশদের এই নীতির তীব্র বিরোধিতা করে এবং খলিফার মর্যাদা রক্ষার দাবিতে ১৯১৯ সালে খিলাফৎ আন্দোলন শুরু করে।
4. ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ ভারতে হিন্দু মুসলমান সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কেন ?
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দটি ছিল ভারতে হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও পৃথকীকরণের ধারণার জন্মলগ্ন হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বছর থেকেই তথাকথিত 'দ্বি-জাতি তত্ত্বের' (Two-Nation Theory) ভিত্তি আরও মজবুত হতে শুরু করে।
গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলি:
পৃথক ভূখণ্ডের প্রস্তাব (ইকবাল): ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম লিগের সভাপতি আল্লামা মহম্মদ ইকবাল তাঁর ভাষণে প্রথম বারের মতো পাঞ্জাব, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, বালুচিস্তান এবং কাশ্মীর—এই অঞ্চলগুলি নিয়ে মুসলমানদের জন্য একটি আলাদা ভূখণ্ড গঠন করার সুস্পষ্ট প্রস্তাব দেন।
'পাকিস্তান' নামের সূত্রপাত (রহমৎ আলি): ইকবালের এই ধারণাকেই পরবর্তীতে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র চৌধুরি রহমৎ আলি আরও এগিয়ে নিয়ে যান এবং অস্পষ্টভাবে হলেও মুসলমানদের জন্য প্রস্তাবিত সেই পৃথক রাষ্ট্রের নাম হিসেবে "পাকিস্তান" শব্দটি ব্যবহার করেন।
5. কিভাবে উনিশ শতকে হিন্দু পুনরুজ্জীবন আন্দোলনের জন্ম হয়েছিল ?
ঊনবিংশ শতাব্দীর হিন্দু সমাজের সংস্কারমুখী ধারা থেকে হিন্দু পুনরুজ্জীবনবাদী আন্দোলনের জন্ম হয়, যা রাজনৈতিক চরমপন্থার জন্ম দেয়।
মূল লক্ষ্য: এই উদ্যোগে হিন্দুধর্মের কল্পকাহিনি ও প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার করে ভারতীয় জাতিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়।
প্রচারিত ধারণা: পুনরুজ্জীবনবাদীরা ভারত ও হিন্দুকে সমার্থক বলে প্রচার করতে থাকেন। তারা বলেন যে মুসলিম শাসনের কারণে সভ্যতার অধঃপতন ঘটেছে।
নেতৃত্ব ও চরিত্র: হিন্দু জাতীয়তাবাদ মূলত উঁচু জাতির সংস্কারকদের ব্রাহ্মণ্য মতানুসারী ছিল। অধিকাংশ বিপ্লবী জাতীয়তাবাদী নেতা ভারতীয় সংস্কৃতি ও জাতিকে হিন্দুধর্ম ও হিন্দুদের বলে চিহ্নিত করেন।
উদাহরণ: এর উদাহরণগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল তিলকের শিবাজি উৎসব ও গণপতি উৎসব, অরবিন্দের দেশকে মাতৃবন্দনা এবং জাতীয়তাবাদকে ধর্ম হিসাবে দেখা, এবং বিপ্লবীদের গীতায় হাত রেখে শপথ নেওয়া।
ফলাফল: এই উদ্যোগের ফলে সমাজে সাম্প্রদায়িকতা নানাভাবে ছড়িয়ে পড়ে।