Special Notes

ভূগোল 

ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরের জন্য এখানে ক্লিক করুন 

1. ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা ও লোহিত মৃত্তিকার মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখ । (3 নম্বর)

উত্তর:- ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা ও লোহিত মৃত্তিকার মধ্যে পার্থক্য গুলি হল -

1. ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা উচ্চ তাপমাত্রা ও ভারী বৃষ্টিপাত যুক্ত আর্দ্র জলবায়ুতে গঠিত হয় ।

লোহিত মৃত্তিকা কম বৃষ্টিপাত ও উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুতে দেখা যায়। 

2. আয়রন ও অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড সমৃদ্ধ ।

লোহা ও ফেরিক অক্সাইড সমৃদ্ধ। 

3. কর্ণাটক, কেরালা, আসামে দেখা যায়। 

ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের কিছু অংশে দেখা যায়। 

2. নদী বর্তন কাকে বলে ? (2 নম্বর)

উত্তর:- নদী যখন সোজা পথে প্রবাহিত না হয়ে স্রোতের তীব্রতার কারণে পাড় ভাঙে ও গঠন করে বাঁক খেয়ে প্রবাহিত হয়, তখন তাকে নদী বর্তন বলে। সাধারণত সমভূমি অঞ্চলে নদীর এই ধরণের বাঁকানো প্রবাহ বেশি দেখা যায়।

3. FCC কী ? (2 নম্বর)

উত্তর:-FCC-র পুরো কথাটি হল False Colour Composite বা ছদ্ম রং মিশ্রণ। ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন বস্তু বা উপাদানের স্বাভাবিক রং যা হয়, উপগ্রহ চিত্রে সেই রঙের পরিবর্তে বিভিন্ন ব্যান্ড (band) বা রং ব্যবহার করা হয়। একেই FCC বা False Colour Composite অর্থাৎ ছদ্ম রং মিশ্রণ বলে। অবশ্য এক্ষেত্রে সারা বিশ্বে একই রকমের রং ব্যবহৃত হয়। যেমন- লাল ব্যান্ডে সবুজ, সবুজ ব্যান্ডে লাল উপগ্রহ চিত্র তৈরি করা হয়।

উদাহরণ: সবুজ অরণ্যকে উপগ্রহ চিত্রে লাল রঙে দেখানো হয়।

4. মরু অঞ্চলে বালিয়াড়ি দেখা যায় কেন ?

উত্তর:- মরু অঞ্চলে বায়ু বাধাহীনভাবে প্রবাহিত হয়। প্রবল বেগে প্রবাহিত বায়ু বালি ও বালিযুক্ত ধূলিকণা বহন করে নিয়ে আসে। 
            বায়ুর প্রবাহ পথে টিলা বা শিলাখন্ড অবস্থান করলে বায়ুর গতি কমে যায়। তার ফলে বালি ও ধূলিকণা সেখানে জমা হতে শুরু করে। 
             ক্রমাগত বায়ু প্রবাহের মাধ্যমে বালি জমা হতে হতে বালিয়াড়ির সৃষ্টি হয়।

5. উপগ্রহ চিত্র তোলার বিভিন্ন পর্যায়ে গুলি লেখ। (3 নম্বর)

উপগ্রহ চিত্র গ্রহণের পর্যায় কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে চিত্র সংখ‍্যা নেওয়ার পর সেই সংখ‍্যাগুলোকে কম্পিউটারের সাহায‍্যে প্রতিবিম্ব তৈরি করা হয় । এই প্রতিবিম্ব গঠনের আবার কতগুলি পর্যায় আছে । যেমন-

প্রথমে মানচিত্র তৈরির জন‍্য একটি বিশেষ অঞ্চল বেছে নেওয়া হয় । যার মাধ‍্যমে নির্দিষ্ট স্থানের মানচিত্র সংগ্রহ করা হয় । 

এরপর নির্দিষ্ট অঞ্চলটিকে পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হয় । 

এরপর স‍্যাটেলাইট ওই অঞ্চলের বস্তু ও বিষয়সমূহের তথ‍্য সংখ‍্যার আকারে সঞ্চয় ও গ্রহণ করে । 

শেষে এই তথ‍্যগুলি আবার বিশ্লেষণের জন‍্য ground station এ পাঠানো হয়, একে বলা হয় রূপায়ণ এবং তার প্রতিলিপি নেওয়া হয় । একে বলা হয় মুদ্রণ ।

6. (শূন্যস্থান পূরণ কর) পূর্ব ভারত নেপাল ও ভুটান কে কলকাতা বন্দর __________ বলে।

উত্তর:- হিন্টারল্যান্ড 

7. পৃথিবীতে আন্তর্জাতিক সিরিজের ভূবৈচিত্র সূচক মানচিত্রের সংখ্যা কয়টি ?

উত্তর:- 400 কি।

8. বিভেদন কাকে বলে ? ( 2 নম্বর)

উত্তর:- সংবেদক (Sensor)-এর সাহায্যে বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গের মাধ্যমে গৃহীত কৃত্রিম উপগ্রহ চিত্রের বিভিন্ন বস্তু, ক্ষেত্র, উপাদানের পৃথক করণের ক্ষমতাকে বিভেদন বা Resolution বলে।

​​ 9. পৃথিবীর বায়ুচাপ প্রলয়ের সঙ্গে নিয়ত বায়ু প্রবাহের সম্পর্ক আলোচনা কর। (5 নম্বর)

​পৃথিবীর বিভিন্ন বায়ুচাপ বলয়-এর মধ্যে চাপের তারতম্যের কারণেই নিয়ত বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। বায়ু সবসময় উচ্চচাপ বলয় থেকে নিম্নচাপ বলয়-এর দিকে প্রবাহিত হয়। পৃথিবীর আবর্তন গতির কারণে সৃষ্ট কোরিওলিস বল-এর প্রভাবে এই বায়ুপ্রবাহ ফেরেলের সূত্র মেনে উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে যায়। প্রধানত তিনটি নিয়ত বায়ুপ্রবাহ লক্ষ্য করা যায়— আয়ন বায়ু, পশ্চিমা বায়ু এবং মেরু বায়ু

​প্রধান নিয়ত বায়ুপ্রবাহ এবং বায়ুচাপ বলয়ের সম্পর্ক

​১. আয়ন বায়ু (Trade Winds)

  • সম্পর্ক: উভয় গোলার্ধের উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় (কর্কটীয় 30^\circ উত্তর এবং মকরীয় 30^\circ দক্ষিণ) থেকে বাতাস নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় (0^\circ থেকে 5^\circ উভয় দিকে) এর দিকে নিয়মিত প্রবাহিত হয়।
  • উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ু: উত্তর গোলার্ধে বাতাস ডানদিকে বেঁকে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়।
  • দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু: দক্ষিণ গোলার্ধে বাতাস বামদিকে বেঁকে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়।

​২. পশ্চিমা বায়ু (Westerlies)

  • সম্পর্ক: উভয় গোলার্ধের উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় (30° থেকে 35° উভয় দিকে) থেকে বাতাস মেরুবৃত্তপ্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় (60° থেকে 65° উভয় দিকে) এর দিকে নিয়মিত প্রবাহিত হয়।
  • দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু: উত্তর গোলার্ধে বাতাস ডানদিকে বেঁকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়।
  • উত্তর-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু: দক্ষিণ গোলার্ধে বাতাস বামদিকে বেঁকে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়।
    • ​এই বায়ুপ্রবাহ 40° থেকে 50° দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়, যা 'গর্জনশীল চল্লিশ', 'ক্রুদ্ধ পঞ্চাশ' এবং 'চিৎকারকারী ষাঠ' নামে পরিচিত।

​৩. মেরু বায়ু (Polar Winds)

  • সম্পর্ক: উভয় গোলার্ধের মেরুদেশীয় উচ্চচাপ বলয় (80° থেকে 90°) থেকে শীতল বাতাস মেরুবৃত্তপ্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় (60° থেকে 65°) এর দিকে নিয়মিত প্রবাহিত হয়।
  • উত্তর-পূর্ব মেরু বায়ু: উত্তর গোলার্ধে বাতাস ডানদিকে বেঁকে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়।
  • দক্ষিণ-পূর্ব মেরু বায়ু: দক্ষিণ গোলার্ধে বাতাস বামদিকে বেঁকে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়।

​সংক্ষেপে, পৃথিবীর বায়ুচাপ বলয়গুলিই মূলত নিয়ত বায়ুপ্রবাহের উৎস ও গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করে, আর পৃথিবীর আবর্তন সেই পথে দিক পরিবর্তন ঘটায়।

10. নদীর বাঁধের উত্তর অংশের সঞ্চয় কে কি বলে ?

উত্তর - বিন্দুবার

11. কোন নদীর উপর ভাকরা নাগাল বা তৈরি হয়েছে ?

উত্তর - শতদ্রু 

12. ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলের অবস্থান ও প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো।

এখানে ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর অবস্থান ও প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্ষেপে ও সহজ ভাষায় আলোচনা করা হলো:
ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর অবস্থান
এই জলবায়ু অঞ্চলটি প্রধানত উভয় গোলার্ধে 10^\circ থেকে 25^\circ অক্ষরেখার মধ্যবর্তী অঞ্চলে মহাদেশগুলির পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশে দেখা যায়।
এটি মূলত ঋতু অনুসারে বিপরীতমুখী মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের দ্বারা প্রভাবিত।
প্রধান অবস্থান ক্ষেত্র:
 * এশিয়া: ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া (যেমন থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম), এবং চীনের কিছু অংশ।
 * অন্যান্য অঞ্চল: উত্তর অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশ, পূর্ব ও পশ্চিম আফ্রিকার অংশবিশেষ এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশ। 
ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য
মৌসুমি জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ঋতুভিত্তিক পরিবর্তনশীলতা এবং খামখেয়ালি বৃষ্টিপাত।
১. ঋতু পরিবর্তন: সুস্পষ্ট চারটি ঋতু
এই জলবায়ুতে উষ্ণতার হ্রাস-বৃদ্ধি ও মৌসুমি বায়ুর আগমন-প্রত্যাবর্তন অনুসারে চারটি প্রধান ঋতু পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়:
 * উষ্ণ আর্দ্র গ্রীষ্মকাল: (মার্চ - জুন) দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমনের পূর্বের সময়, সর্বোচ্চ উষ্ণতা বিরাজ করে।
 * আর্দ্র বর্ষাকাল: (জুলাই - সেপ্টেম্বর) উষ্ণ ও আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
 * স্বল্পস্থায়ী শরৎকাল: (অক্টোবর - নভেম্বর) মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাবর্তনের সময়, প্রায়শই ঘূর্ণিঝড় দেখা যায়।
 * শীতল ও শুষ্ক শীতকাল: (ডিসেম্বর - ফেব্রুয়ারি) শীতল ও শুষ্ক উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাব থাকে, বৃষ্টিপাত প্রায় হয় না।
২. উষ্ণতা-সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্য:
 * সারাবছর উচ্চ উষ্ণতা: বার্ষিক গড় উষ্ণতা সাধারণত বেশি থাকে।
 * গ্রীষ্মে চরম উষ্ণতা: গ্রীষ্মকালে (এপ্রিল-মে) তাপমাত্রা 38^\circ\text{C} থেকে 48^\circ\text{C} পর্যন্ত হতে পারে।
 * বার্ষিক ও দৈনিক উষ্ণতার প্রসর: সমুদ্র থেকে দূরত্ব বাড়লে উষ্ণতার বার্ষিক ও দৈনিক প্রসর (সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য) বৃদ্ধি পায়।
৩. বায়ুপ্রবাহ সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্য:
 * মৌসুমি বায়ুর প্রাধান্য: গ্রীষ্মে সমুদ্র থেকে আসা আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এবং শীতে স্থলভাগ থেকে আসা শুষ্ক উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু এই অঞ্চলের আবহাওয়াকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করে।
 * বায়ুচাপের পরিবর্তন: সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়নের সঙ্গে সঙ্গে গ্রীষ্ম ও শীতকালে বায়ুচাপ কেন্দ্রের (উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ) অবস্থান পরিবর্তিত হয়।
 * ঘূর্ণিঝড়: শরৎকাল বা প্রত্যাবর্তনের সময় উপকূলীয় অঞ্চলে শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়। গ্রীষ্মের প্রাক্কালে স্থানীয়ভাবে কালবৈশাখী-এর মতো ঝড় সৃষ্টি হয়।
৪. বৃষ্টিপাত সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্য:
 * বর্ষাকালে সর্বাধিক বৃষ্টিপাত: বার্ষিক মোট বৃষ্টিপাতের প্রায় 80\% বর্ষাকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঘটে।
 * বৃষ্টিপাতের প্রকৃতি: প্রধানত শৈলোৎক্ষেপ ও ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টিপাত দেখা যায়।
 * বৃষ্টিপাতের খামখেয়ালিপনা: মৌসুমি বায়ুর অনিশ্চয়তার কারণে কোনো বছর অতিবৃষ্টিতে বন্যা আবার কোনো বছর অনাবৃষ্টিতে খরা দেখা যায়।
 * বৃষ্টিপাতের অসম বণ্টন: ভূপ্রকৃতি ও সমুদ্র থেকে দূরত্বের তারতম্যের কারণে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্থানভেদে ভিন্ন হয়।
 * বৃষ্টিহীন শীতকাল: উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু শুষ্ক হওয়ায় শীতকাল সাধারণত বৃষ্টিহীন থাকে।

ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে মূলত উষ্ণতা ও আর্দ্রতার ভিত্তিতে বছরকে ভাগ করা যায়। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু হলো এই জলবায়ুর প্রাণ, যা এই অঞ্চলকে বিপুল পরিমাণে জলসম্পদ প্রদান করে, কিন্তু এর খামখেয়ালিপনার জন্য জীবনযাত্রায় বন্যা-খরা জনিত সমস্যাও সৃষ্টি হয়।

13. হিমরেখার উচ্চতা কি কি বিষয়ের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ?

 
পর্বতের গায়ে বা ভূপৃষ্ঠে যে উচ্চতার ওপর সারাবছর তুষার জমে থাকে বা যে উচ্চতার নীচে তুষার গলে জল হয়ে যায়, উচ্চতার সেই সীমারেখার নাম হিমরেখা। এই হিমরেখার উচ্চতা নির্ভর করে —

1. অক্ষাংশ : উচ্চ অক্ষাংশের তুলনায় নিম্ন অক্ষাংশে উষ্ণতা বেশি তাই হিমরেখার উচ্চতাও উচ্চ অক্ষাংশে কম এবং নিম্ন অক্ষাংশে বেশি। উদাহরণ: মেরু অঞলে হিমরেখার অবস্থান প্রায় সমুদ্রপৃষ্ঠ (0 মিটার) থেকে শুরু করে নাতিশীতােষ্ণ অঞলে 2000-2500 মিটার, ক্রান্তীয় অঞ্চলে 4000-4500 মিটার এবং নিরক্ষীয় অঞলে প্রায় 5500 মিটার উচ্চতায় অবস্থান করে। 

2. ভূমির ঢাল : নিরক্ষরেখার বিপরীত দিকে ঢালু ভূমির তুলনায় সূর্যরশ্মি বেশি পড়ে বলে নিরক্ষরেখার দিকে ঢালু ভূমি বেশি উত্তপ্ত হয় এবং এজন্য হিমরেখার উচ্চতাও বেশি হয়। উদাহরণ: হিমালয়ের উত্তর ঢালের তুলনায় দক্ষিণ ঢালে অর্থাৎ নিরক্ষরেখামুখী ঢালে হিমরেখার উচ্চতা 1000 মিটারেরও বেশি হয়। 

3. ঋতুবৈচিত্র্য : ঋতু অনুসারে হিমরেখার অবস্থানে পার্থক্য হয়। গ্রীষ্মকালে হিমরেখা ওপরে উঠে যায়, আবার শীতকালে নেমে আসে। উদাহরণ: শীতকালে হিমালয়ের কোনাে কোনাে অংশে হিমরেখা প্রায় 3700 মিটার পর্যন্ত নেমে এলেও গ্রীষ্মকালে তা প্রায় 4800 মিটার পর্যন্ত ওপরে উঠে যায়। এজন্য হিমালয়ের হিমরেখার উচ্চতা 4800 মিটার ধরা হয়। 

4. বায়ুপ্রবাহ : যেসব স্থানে উয় বায়ু প্রবাহিত হয় সেখানে হিমরেখার উচ্চতা বেশি হয়। আবার, পর্বতের একদিকে উষ্ণ বায়ু এবং অন্যদিকে শীতল বায়ু প্রবাহিত হলে উভয় দিকের মধ্যে হিমরেখার উচ্চতাতেও পার্থক্য হয়। উদাহরণ: রকি পর্বতের পূর্ব ঢালে উঃ চিনুক বায়ুর প্রভাবে হিমরেখার উচ্চতা পশ্চিম ঢালের তুলনায় বেশি।

14. ভার্মি কম্পোস্টিং বলতে কী বোঝ?

ভার্মি কম্পোস্টিং হলো এক প্রকার জৈব সার তৈরির পদ্ধতি, যেখানে কেঁচো-কে ব্যবহার করে কৃষিজ বর্জ্য, গোবর, এবং রান্নাঘরের পচনশীল জৈব আবর্জনা পচিয়ে অতি উন্নত মানের সার তৈরি করা হয়। এই সারকে ভার্মিকম্পোস্ট বা কেঁচো সার বলা হয়।
প্রক্রিয়া ও গুরুত্ব :-
ভার্মি কম্পোস্টিং-এর প্রধান দিকগুলি নিচে দেওয়া হলো:
কেঁচোর ভূমিকা: প্রধানত রেড উইগলার (Eisenia fetida) জাতীয় কেঁচো এই প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়। কেঁচোগুলি জৈব বর্জ্য খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে এবং তাদের পরিপাকতন্ত্রের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসা মল বা ভার্মিকাস্ট (Worm Castings) তৈরি করে।
সারের গুণগত মান: এই ভার্মিকাস্ট সাধারণ সারের চেয়ে অনেক বেশি পুষ্টিসমৃদ্ধ হয়। এতে উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম-এর (N, P, K) পরিমাণ বেশি থাকে এবং এটি মাটির জল ধারণ ক্ষমতা ও বায়ু চলাচল বাড়াতে সাহায্য করে।
পরিবেশগত গুরুত্ব: এটি কঠিন জৈব বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি অত্যন্ত কার্যকর এবং পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি। এটি বর্জ্যকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে তোলে এবং মাটির স্বাস্থ্য ও উর্বরতা বৃদ্ধি করে।

15. বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় স্ক্রাবারের ভূমিকা কী?

বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে স্ক্রাবারের সংক্ষিপ্ত ভূমিকা:-
স্ক্রাবার হলো বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের একটি অত্যাধুনিক যন্ত্র, যা শিল্প কারখানা থেকে নির্গত দূষিত গ্যাসকে শোধন করে। এর প্রধান কাজগুলি হলো:
১. বস্তুকণা অপসারণ: দূষিত গ্যাসকে তরল পদার্থের (যেমন জল) মধ্য দিয়ে চালনা করা হয়। এতে ভাসমান বর্জ্য বস্তুকণাগুলি ভিজে ভারী হয়ে যায় এবং থিতিয়ে পড়ে, ফলে বায়ুমণ্ডলে এর নির্গমন কমে।
২. ক্ষতিকারক গ্যাস নিয়ন্ত্রণ: সালফার ডাইঅক্সাইড (SO_2) বা নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO_2) এর মতো বিষাক্ত অ্যাসিড গ্যাসগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য স্ক্রাবারে রাসায়নিক বিকারক (যেমন স্লারি) ব্যবহার করা হয়।
৩. তাপমাত্রা কমানো: এটি নির্গত উষ্ণ বর্জ্য গ্যাসের তাপ কমিয়ে তাকে শীতল করতেও সাহায্য করে।
সংক্ষেপে, স্ক্রাবার যন্ত্রটি বায়ু থেকে বস্তুকণা ও ক্ষতিকারক গ্যাস—উভয়কেই অপসারণ করে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

16. টি সি সি এবং এফ সি সি এর মধ্যে পার্থক্য লেখ।

১ রং কেমন দেখায়? এটি ঠিক তেমনই দেখায় যেমন আমরা নিজেদের চোখ দিয়ে সরাসরি দেখলে দেখতে পেতাম। আকাশে মেঘ সাদা, জল নীল, এবং গাছপালা সবুজ দেখায়।                 
এটি বাস্তবের মতো দেখায় না। এটি এমনভাবে রং ব্যবহার করে, যাতে কিছু জিনিস (যেমন গাছপালা বা জল) আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।
২ কোন তথ্য ব্যবহার হয়? শুধুমাত্র মানুষের চোখ যা দেখতে পায় (লাল, সবুজ, নীল আলো) সেই তথ্য ব্যবহার করা হয়।                   
  মানুষের চোখ যা দেখতে পায় না (যেমন ইনফ্রারেড বা তাপ) সেই তথ্য ব্যবহার করা হয়, এবং সেগুলিকে লাল বা সবুজ রং দিয়ে দেখানো হয়।
৩ কেন ব্যবহার করা হয়? সাধারণ ছবি বা মানচিত্র তৈরি করার জন্য, যাতে সবাই সহজে বুঝতে পারে।                                          
 গাছপালা কতটা সুস্থ বা মাটির নিচে কী আছে—এই ধরনের বিশেষ তথ্য খুঁজে বের করার জন্য ব্যবহার করা হয়।


ইতিহাস 

1. কোন পত্রিকায় 'সত্তর বৎসর' গ্রন্থটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতো ?

উত্তর:- প্রবাসী 

2. কত খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তর:- 1780 খ্রিস্টাব্দে ( মতান্তরে 1781 খ্রিস্টাব্দে)।

3. গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকাকে কেন ব্যতিক্রমী পত্রিকা বলা হয় ? (2 নম্বরের)

গ্রামবার্তা প্রকাশিকার ব্যতিক্রমী হওয়ার কারণ:
'গ্রামবার্তা প্রকাশিকা' পত্রিকাটি ব্যতিক্রমী ছিল কারণ:
১. গ্রামীণ সমস্যা তুলে ধরা: এটি ছিল মূলত গ্রামীণ সমাজের মুখপত্র। তৎকালীন সময়ে যেখানে বেশিরভাগ বাংলা সংবাদপত্র শহর ও বিদেশের খবর প্রকাশ করত, সেখানে 'গ্রামবার্তা প্রকাশিকা' কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের সম্পাদনায় গ্রামীণ মানুষের ওপর জমিদার, নীলকর ও পুলিশের অত্যাচার, এবং বিচারের নামে অবিচারের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করত।
২. নির্ভীক ও সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন: পত্রিকাটি নির্ভীকভাবে সত্যতা যাচাই করে সংবাদ প্রকাশ করত। এর ফলে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে অনেক সময় প্রশাসনকেও ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হতে হতো। সেই কারণে পত্রিকাটিকে 'গ্রামীণ সংবাদপত্রের জনক' বলা হয়।

4. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ কিভাবে গঠিত হয় ? ( 2 নম্বরের)

জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হওয়ার মূল কারণ ছিল স্বদেশী আন্দোলনের সময় সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কৃত ছাত্রদের বিকল্প শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
লর্ড কার্জনের বঙ্গভঙ্গ-এর প্রতিবাদে ছাত্ররা যখন আন্দোলনে অংশ নেয়, তখন ব্রিটিশ সরকার লিয়ন সার্কুলার, কার্লাইল সার্কুলার-এর মতো দমনমূলক আইন জারি করে ছাত্রদের স্কুল-কলেজ থেকে বিতাড়িত করতে থাকে। এই বহিষ্কৃত ছাত্রদের শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করতে এবং একই সাথে মাতৃভাষার মাধ্যমে জাতীয় আদর্শ, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষা প্রদান করার লক্ষ্য নিয়ে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে রাসবিহারী ঘোষের সম্পাদনা ও সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়।

5.অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি কেন প্রতিষ্ঠিত হয় ?


অ্যান্টি-সার্কুলার সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয় কার্লাইল সার্কুলারের প্রতিবাদে এবং বহিষ্কৃত ছাত্রদের বিকল্প শিক্ষার ব্যবস্থা করার উদ্দেশ্যে।
প্রতিষ্ঠার কারণ ও উদ্দেশ্য
1905 খ্রিস্টাব্দের 4 নভেম্বর ছাত্র নেতা শচীন্দ্রপ্রসাদ বসুর নেতৃত্বে কলকাতায় অ্যান্টি-সার্কুলার সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রেক্ষাপট: ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের অংশগ্রহণ রুখতে কার্লাইল সার্কুলার জারি করে। এই সার্কুলারের ফলে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার ‘অপরাধে’ অনেক ছাত্রকে সরকারি স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
মূল উদ্দেশ্য: এই বহিষ্কৃত ছাত্রদের জন্য বিকল্প শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করাই ছিল এই সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য।
অন্যান্য কর্মসূচি: এছাড়া বক্তৃতা ও সংগীতের মাধ্যমে দেশবাসীর মধ্যে স্বদেশি চিন্তার প্রসার, বিদেশি পণ্যের দোকানে পিকেটিং এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বদেশি বস্ত্র সরবরাহ করাও এই সংগঠনের কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত ছিল।

6. এলাকা চাষ ও বে-এলাকা চাষ বলতে কী বোঝ?

এলাকা চাষ’ ও ‘বে-এলাকা চাষ’ এই শব্দ দুটি উনিশ শতকে নীলচাষের দুটি ভিন্ন পদ্ধতিকে বোঝাত।
১. এলাকা চাষ:
নীলকর সাহেবরা যখন সরাসরি জমিদারের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে বা ভাড়া নিয়ে সেই জমিতে নিজেদের তত্ত্বাবধানে ভাড়া করা মজুর বা শ্রমিকদের (চাষি) দিয়ে নীলচাষ করাতেন, তখন তাকে 'এলাকা চাষ' বলা হত। এটি অনেকটা নীলকরদের নিজস্ব ফার্ম বা জমিতে চাষের মতো ছিল।
২. বে-এলাকা চাষ (বা রায়তি চাষ):
'এলাকা চাষ' পদ্ধতি যথেষ্ট লাভজনক না হওয়ায় নীলকররা অন্য একটি পদ্ধতি নেয়। এক্ষেত্রে নীলকররা সাধারণ চাষিদের (রায়তদের) নীলচাষের জন্য অগ্রিম টাকা বা 'দাদন' দিত। এই টাকার বিনিময়ে চাষিরা তাদের নিজেদের জমিতে এবং নিজেদের খরচে নীলচাষ করতে বাধ্য হত। নীলকরদের নিজস্ব জমির বাইরে চাষিদের জমিতে এই চাষ করানো হত বলে এর নাম হয় 'বে-এলাকা চাষ' বা 'রায়তি চাষ'।

7. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত ভুক্তির দলিল বলতে কী বোঝো ?

ভারতভুক্তি দলিল হলো একটি আইনি চুক্তিপত্র, যার মাধ্যমে ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল।
উদ্দেশ্য: প্রায় ৫৬২টি দেশীয় রাজ্যকে ভারতীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত করা।
প্রণেতা: সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল।
চুক্তির বিষয়: রাজ্যগুলি প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষমতা ভারতের হাতে তুলে দেয়। এর বিনিময়ে শাসকরা ভারত সরকারের কাছ থেকে ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা পেতেন।
গুরুত্ব: এই চুক্তির ফলেই ভারত একটি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
সংক্ষেপে, এটি ছিল দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করার একটি ঐতিহাসিক ও আইনসম্মত পদক্ষেপ।

8. নেহরু-লিয়াকৎ চুক্তি কী এবং কেন স্বাক্ষরিত হয়? 

নেহরু-লিয়াকৎ চুক্তি হলো ১৯৫০ সালের ৮ এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকৎ আলি খানের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি ঐতিহাসিক চুক্তি। এটি দিল্লি চুক্তি নামেও পরিচিত।

উদ্দেশ্য:

  • সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ: ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর বিশেষত পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) এবং পশ্চিমবঙ্গে সৃষ্ট ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা অবিলম্বে বন্ধ করা।
  • সংখ্যালঘু সুরক্ষা: উভয় দেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের (ভারতে মুসলিম এবং পাকিস্তানে হিন্দু) নিরাপত্তা, জীবন ও সম্পত্তির অধিকার নিশ্চিত করা।
  • উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধান: দাঙ্গার কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া উদ্বাস্তুদের সসম্মানে নিজ নিজ বাসস্থানে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ এবং তাদের সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের নিশ্চয়তা দেওয়া।

​সংক্ষেপে, দেশভাগ-পরবর্তী সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও মানবিক সংকট মোকাবিলার জন্যই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

9. রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কেন গঠিত হয়েছিল ?

ভারতের স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবি অত্যন্ত জোরালো হয়ে ওঠে।

১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে ভাষাভিত্তিক অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য গঠিত হওয়ার পর এই দাবি আরও বেগ পায়। এই পরিস্থিতিতে, দেশের প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাস ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য এই ব্যাপক দাবিগুলির যৌক্তিকতা বিচার করা এবং সরকারকে উপযুক্ত পরামর্শ দেওয়ার প্রয়োজন ছিল।

এই উদ্দেশ্যেই প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর নির্দেশে এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরের উদ্যোগে বিচারপতি ফজল আলীর সভাপতিত্বে ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে এই কমিশন গঠন করা হয়।

10. পত্তি শ্রীরামুলু কে ছিলেন?

পত্তি শ্রীরামালু ছিলেন একজন বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং গান্ধীবাদী নেতা।তিনি ভাষার ভিত্তিতে পৃথক অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য গঠনের দাবিতে নেতৃত্ব দেন।১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে তিনি এই দাবির সমর্থনে ৫৮ দিন ধরে আমরণ অনশন করেন এবং অনশনরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর তীব্র গণ-বিক্ষোভের মুখে ভারত সরকার দাবি মেনে নেয় এবং অন্ধ্রপ্রদেশ ছিল ভাষার ভিত্তিতে গঠিত ভারতের প্রথম রাজ্য।এই আত্মত্যাগের জন্য তাঁকে 'পৃথক অন্ধ্রপ্রদেশের উদগাতা' বলা হয়।

11. সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে ভারতের লৌহ মানব বলা হয় কেন?

স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে তাঁর অদম্য চারিত্রিক দৃঢ়তা এবং বলিষ্ঠ নীতির জন্য 'ভারতের লৌহমানব' বলা হয়।

প্রধান কারণ: স্বাধীনতার পর তিনি প্রায় ৫৫০টিরও বেশি দেশীয় রাজ্যকে দৃঢ়তার সাথে (প্রয়োজনে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে) ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতা রক্ষা করেন।

তুলনা: ঐক্যবদ্ধ জার্মানির রূপকার বিসমার্কের সঙ্গে তুলনা করে তাঁর এই ঐতিহাসিক সাফল্যের জন্য তাঁকে এই অভিধায় ভূষিত করা হয়েছে।

তিনিই হলেন ঐক্যবদ্ধ ভারতের রূপকার।







Post a Comment

Previous Post Next Post