1. আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান সরকারি হিসেবে নথিপত্র কিভাবে সহায়তা করে ?
আধুনিক ভারতের ইতিহাস জানার জন্য সরকারি কাগজপত্র বা নথিপত্র খুবই দরকারি। এর মধ্যে রয়েছে পুলিশ, গোয়েন্দা বা অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের রিপোর্ট, প্রতিবেদন, এবং চিঠিপত্র।
সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব:
১) সরকারি রিপোর্ট: সরকারি অফিসাররা বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে সরকারকে রিপোর্ট পাঠাতেন। এই রিপোর্টগুলো থেকে সেই সময়ের আন্দোলন বা বিপ্লবীদের কার্যকলাপ সম্পর্কে জরুরি তথ্য জানা যায়।
২) বিশেষ কমিশনের প্রতিবেদন: সরকার যখন কোনো বিশেষ সমস্যা সমাধানের জন্য কমিটি (কমিশন) গঠন করত, তখন তারা সরকারকে রিপোর্ট দিত। এই রিপোর্টগুলোও ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। যেমন, সাইমন কমিশনের রিপোর্ট থেকে তখনকার শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানা যায়।
৩) চিঠিপত্রের লেনদেন: সরকারি কাজে কেন্দ্রীয় এবং প্রাদেশিক (অঞ্চলভিত্তিক) শাসকদের মধ্যে অনেক চিঠি চালাচালি হত। যেমন, লর্ড কার্জন কেন বাঙালিদের রাজনৈতিক ঐক্য ভাঙতে চেয়েছিলেন, তা সরকারি চিঠি থেকেই জানা যায়।
৪) সরকারি কর্মীদের লেখা: ব্রিটিশ কর্মচারীরা নিজের চোখে দেখা নানা ঘটনা ও অভিজ্ঞতা লিখে গেছেন। যেমন, ফরেস্টের লেখা থেকে সিপাহী বিদ্রোহ এবং লর্ড কার্জনের সেক্রেটারি হার্বাট রিজলের ব্যক্তিগত লেখা থেকে ব্রিটিশ আমলের শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।
তবে সতর্কতা জরুরি:
সরকারি নথিপত্র ব্যবহার করে ইতিহাস লেখার সময় সতর্ক থাকতে হয়। কারণ পুলিশ বা গোয়েন্দাদের রিপোর্টে অনেক সময় ভুল বা বাড়ানো তথ্য থাকতে পারে। তাই, এই তথ্যগুলোকে অন্য তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে যাচাই করে নিলে তবেই সঠিক ইতিহাস লেখা সম্ভব।
2. বাংলায় নারী মুক্তি আন্দোলনে বামাবোধিনী পত্রিকার গুরুত্ব আলোচনা কর। (4 নম্বরের)
ভূমিকা: উনিশ শতকে বাংলায় নারী সমাজের উন্নতির উদ্দেশ্যে প্রকাশিত প্রথম মাসিক পত্রিকা ছিল 'বামাবোধনী পত্রিকা'। ব্রাহ্মনেতা কেশব চন্দ্র সেন-এর অনুপ্রেরণায় উমেশচন্দ্র দত্ত এটি প্রকাশ করেন।
উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব:
এই পত্রিকার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নারী সমাজের কল্যাণ সাধন। এর মাধ্যমে এটি নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে:
১. নারী শিক্ষার প্রসার: পত্রিকার প্রথম সংখ্যাতেই নারী শিক্ষার দাবি জানানো হয় এবং শিক্ষাদানের বিষয়বস্তুর তালিকা প্রকাশ করা হয়।
২. সামাজিক কুসংস্কার দূরীকরণ: বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, পণপ্রথা ইত্যাদির বিরোধিতা করে সমাজে এগুলির কুফল তুলে ধরে।
৩. নারী প্রগতির চিন্তা প্রচার: রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগর প্রমুখের যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা তুলে ধরে নারীকে সচেতন করতে উৎসাহ দেয়।
৪. নারীদের উৎসাহিতকরণ: নারীদের লেখা গল্প, কবিতা, সাফল্য, কৃতিত্ব ও রাজনীতিতে অংশগ্রহণ ইত্যাদি গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করে তাদের উৎসাহ জোগায়।
সীমাবদ্ধতা: পত্রিকাটি মূলত উচ্চবর্ণের হিন্দু নারীদের মধ্যে প্রচারিত ছিল এবং কলকাতা-মফস্বল কেন্দ্রিক হওয়ায় গ্রামাঞ্চলে এর প্রভাব কম ছিল।
মূল্যায়ন: এই সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও, 'বামাবোধনী পত্রিকা' নারী মুক্তি ও নারী কল্যাণের ক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিল, কারণ সমকালীন অন্য কোনো পত্রিকা এমন উদ্যোগ নেয়নি। শিক্ষা প্রসারে এবং নারী সমাজকে সচেতন করার ক্ষেত্রে এর অবদান অনস্বীকার্য।
3. উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে ভারত সরকার কি কি উদ্যোগ গ্রহণ করে ?
দীর্ঘ সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের পর ভারত স্বাধীনতা লাভ করলেও, দেশভাগের ফলে সৃষ্ট উদ্বাস্তু সমস্যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়। ভারত সরকার প্রথম পাঁচ বছর এই উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে। এই কারণে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালকে 'পুনর্বাসনের যুগ' বলা হয়।
উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানে ভারত সরকার নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেছিল:
আশ্রয় দান ও পুনর্বাসন: ভারত সরকার তার সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
সাময়িক আশ্রয়: প্রথমে তাদের 'সাময়িক শিবির' বা 'ট্রানজিট ক্যাম্পে' আশ্রয় দেওয়া হয়।
স্থায়ী পুনর্বাসন: পরবর্তীতে তাদের স্থায়ী পুনর্বাসনের (পি. এল. ক্যাম্প) ব্যবস্থা করা হয়।
আঞ্চলিক আশ্রয়: পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আগত উদ্বাস্তুরা মূলত উত্তর ও পশ্চিম ভারতের পাঞ্জাবে আশ্রয় নিয়েছিল। অন্যদিকে, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে আগত উদ্বাস্তু ও শরণার্থীরা জীবন ও জীবিকার সন্ধানে মূলত পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরায় আশ্রয় নেয়।
ডোল বিতরণ: সরকারি ত্রাণশিবিরে জীবন নির্বাহের জন্য উদ্বাস্তুদের যে ত্রাণ দেওয়া হতো, সরকারি পরিভাষায় তাকে 'ডোল' বলা হতো। যদিও এই 'ডোল'-এর মান ও পরিমাণ, উভয়ই যথেষ্ট কম ছিল।
নেহরু-লিয়াকৎ চুক্তি সম্পাদন: উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকৎ আলি খাঁ ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তিতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রদান এবং উদ্বাস্তু সমস্যার কারণ ও পরিমাণ নির্ধারণের জন্য কমিটি গঠনের কথা বলা হয়। এই চুক্তিটি নেহরু-লিয়াকৎ চুক্তি নামে পরিচিত। এই চুক্তির ফলে শরণার্থীর স্রোত কিছুটা কমলেও, এটি সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে পারেনি।
জনহস্তান্তর (সম্পত্তি ও জনবিনিময়): কেন্দ্রীয় সরকার পাঞ্জাবে সম্পত্তি ও জনবিনিময়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে উদ্বাস্তু সমস্যাকে কিছুটা লাঘব করার চেষ্টা করে।
তবে, উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানে দেশের পশ্চিমাঞ্চল অপেক্ষা পূর্বাঞ্চলে ভারত সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ছিল অনেকটাই হতাশাজনক। এমনকি, প্রধানমন্ত্রী নেহরু পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দু উদ্বাস্তুদের পশ্চিম-মুখী যাত্রাকে 'নিছক কাল্পনিক ভয়' হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন
4. জুনাগড় রাজ্যটি কিভাবে ভারতভুক্ত হয় ?
ভারতের স্বাধীনতার পর দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতে অন্তর্ভুক্ত করার সময়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার প্যাটেল দ্রুত ব্যবস্থা নেন। কিন্তু জুনাগড় রাজ্য ভারতে যোগ দিতে অস্বীকার করে।
বিপরীত পরিস্থিতি: জুনাগড়ের পশ্চিমে আরব সাগর থাকলেও অন্য সব দিকে এটি ভারতীয় ভূখণ্ড দ্বারা বেষ্টিত ছিল। রাজ্যের অধিকাংশ বাসিন্দা ছিল হিন্দু, কিন্তু শাসক ছিলেন মুসলিম নবাব তৃতীয় মহঃ মোবারক খঞ্জী।
নবাবের সিদ্ধান্ত: নবাব জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাকিস্তানে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিলে রাজ্যের অভ্যন্তরে তীব্র গণ অসন্তোষ ও বিদ্রোহ শুরু হয়। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় নবাব পাকিস্তানে পালিয়ে যান।
ভারতের নিয়ন্ত্রণ: ভারত সরকার তখন জনগণের ইচ্ছা পূরণের জন্য গণভোটের প্রয়োজনীয়তা ঘোষণা করে। এর পাশাপাশি জুনাগড়ের সঙ্গে ভারত সমস্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দিলে খাদ্য পরিস্থিতি খারাপ হয়। এই অবস্থায় প্যাটেলের নির্দেশে জুনাগড়ের প্রশাসন ভারত সরকারকে রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের অনুরোধ জানায়।
চূড়ান্ত সংযুক্তি: ভারত সরকারের উদ্যোগে ১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জুনাগড়ে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এই গণভোটে ৯৯% এর বেশি মানুষ ভারতে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করলে, ১৯৪৯ সালের জানুয়ারি মাসে জুনাগড় রাজ্যটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়।
5. কিভাবে কাশ্মীর সমস্যা সৃষ্টি হয় ?
ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর কাশ্মীর সমস্যার সৃষ্টি কীভাবে হয়েছিল, তার একটি সংক্ষিপ্ত রূপরেখা নিচে দেওয়া হলো:
স্বাধীন থাকার আকাঙ্ক্ষা: ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করলে, জম্মু ও কাশ্মীরের তৎকালীন রাজা হরি সিং কোনো রাষ্ট্রেই যোগ না দিয়ে কাশ্মীরকে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেন।
পাকিস্তানের আক্রমণ: কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক ও ভৌগোলিক গুরুত্বের কারণে পাকিস্তান এটিকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল। রাজা হরি সিং-এর স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই, ১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাসে, পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী কাশ্মীর আক্রমণ করে শ্রীনগরের দিকে অগ্রসর হয়।
ভারতে যোগদান: পাকিস্তান বাহিনীর আক্রমণে ভীত হয়ে রাজা হরি সিং ১৯৪৭ সালের ২৬শে অক্টোবর তারিখে ভারতের সঙ্গে ভারত-ভুক্তির দলিলে (Instrument of Accession) স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন।
ভারতীয় সেনার প্রবেশ ও বিভাজন: এই চুক্তির পরদিনই (২৭শে অক্টোবর) ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীরে প্রবেশ করে এবং হানাদারদের হটিয়ে কাশ্মীরের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ দখল করে নেয়। বাকি এক-তৃতীয়াংশ অংশ পাকিস্তানের পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে "আজাদ কাশ্মীর" নামে থেকে যায়।
জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে ভারত ১৯৪৮ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আবেদন জানায়। নিরাপত্তা পরিষদের তত্ত্বাবধানে কাশ্মীরে যুদ্ধবিরতি ঘটে এবং একটি সীমারেখা (পরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বা LOC নামে পরিচিত) নির্ধারিত হয়।
এভাবেই জম্মু ও কাশ্মীর দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় এবং ভারত ও পাকিস্তান—উভয় রাষ্ট্রের তিক্ত সম্পর্কের মূল কারণ হিসেবে কাশ্মীর সমস্যার সৃষ্টি হয়, যা আজও চলমান।
6. সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ - দেশবিভাগ জনিত উদ্বাস্তু সমস্যা।
ভূমিকা ও সংকটের সৃষ্টি
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের পর পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তান থেকে সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের শিকার হয়ে লক্ষ লক্ষ হিন্দু, শিখ প্রভৃতি ধর্মের মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। সদ্যস্বাধীন ভারতের পক্ষে বিপুল সংখ্যক এই উদ্বাস্তুর অর্থনৈতিক দায়দায়িত্ব গ্রহণ করা ছিল এক বিশাল কঠিন চ্যালেঞ্জ, যা দেশে এক গভীর মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করে।
সংকটের কেন্দ্রবিন্দু ও দাঙ্গা
ভারতে উদ্বাস্তু সমস্যার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু ছিল পাঞ্জাব এবং পশ্চিমবঙ্গ। এই সময় উভয় দেশের সংখ্যালঘুদের উপর ব্যাপক নির্যাতন, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগ এবং নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটে।
পাঞ্জাবের পরিস্থিতি: পাঞ্জাবে অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল সংখ্যক উদ্বাস্তু এলেও, ভারত সরকার দ্রুত ত্রাণ ও পুনর্বাসনের সুন্দর ব্যবস্থা করে সমস্যাটির আংশিক সমাধান করতে সক্ষম হয়।
পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি: ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে পূর্ববঙ্গ থেকে উদ্বাস্তুর স্রোত অব্যাহত থাকে। তবে বাঙালি উদ্বাস্তুরা পাঞ্জাবের মতো সুন্দর ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা পায়নি। ফলে বহু উদ্বাস্তুকে শিবির, ফুটপাত বা রেলস্টেশনে আশ্রয় নিতে হয়। বহু উদ্বাস্তুকে দণ্ডকারণ্য ও আন্দামানে পুনর্বাসনে পাঠানো হয়।
দিল্লি চুক্তি (১৯৫০)
উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকৎ আলি খাঁ-র মধ্যে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ‘দিল্লি চুক্তি’ বা ‘নেহরু-লিয়াকৎ চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে ঠিক হয় যে, সংখ্যালঘু শ্রেণি নিজ রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকবে এবং নিজ রাষ্ট্রের কাছেই সমস্যার প্রতিকার চাইবে।
উপসংহার
১৯৪৭-এর পর পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাবে আশ্রয় নেওয়া উদ্বাস্তুদের দুর্দশা লাঘবের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এই পদক্ষেপের ফলেই নিঃস্ব, রিক্ত উদ্বাস্তুরা ধীরে ধীরে দুর্দশার কবল থেকে মুক্তি পায় এবং নতুন জীবন শুরু করতে সক্ষম হয়।
